• ঢাকা বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আর্থিক সহায়তা পেল দুর্বল তিন ব্যাংক
তারল্য সংকট মেটাতে দুর্বল তিন বাণিজ্যিক ব্যাংককে আরও ২৬৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। অর্থ সহায়তা পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।  আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে চারটি শক্তিশালী ব্যাংক। সহায়তা দেওয়া ব্যাংকগুলো হলো- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে, গত সপ্তাহে আরও সাতটি দুর্বল ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। সহায়তা পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। সহায়তা দেওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে ছিল- সোনালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত সোমবার ১৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক করেন। সভায় তিনি দুর্বল ব্যাংকগুলোর সহায়তা অব্যাহত রাখতে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করেন। এ ছাড়া গত ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে নগদ সহায়তা প্রদান বন্ধ করায় তাদের মধ্যে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে গভর্নর সবল ব্যাংকগুলো থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে নগদ সহায়তা দেওয়ার অনুমোদন দিলে সহায়তা প্রদান শুরু হয়। আরটিভি/একে
৭ ঘণ্টা আগে

সংকট নিরসনে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকে সেনাপ্রধান
সংকট নিরসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলসহ অনেকেই রয়েছেন। বৈঠক শেষে বিকেল ৩ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন সেনাপ্রধান। এর আগে, আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে সেনাপ্রধানের ভাষণের আগ পর্যন্ত সকলকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানানো হয়। শনিবার (৩ আগস্ট) সেনাপ্রধান বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের জনগণের আস্থার প্রতীক। জনগণের স্বার্থে এবং রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
০৫ আগস্ট ২০২৪, ১৬:০৮

একদিনে ১৩০৮৫ কোটি টাকা ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারের পাশাপাশি দেশের ব্যাংক খাতে চলছে তারল্য সংকট। সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। বুধবার (১৫ মে) এক নিলামে ৩৬টি ব্যাংক ও একটি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রেপো ও তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৮৫ কোটি টাকা ধার নিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বুধবার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি (এএলএসএফ) এর নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নিলামে এক দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় দুইটি ব্যাংক মোট ৪৯৪ দশমিক ১৫ কোটি টাকার ১৩টি বিড, সাত দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ১৬টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান মোট ৫ হাজার ৪৩১ দশমিক ২৮ কোটি টাকার ৬৫টি বিড এবং এক দিন মেয়াদি অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটির আওতায় ১৮টি পিডি ব্যাংক মোট ৭ হাজার ১৫৯ দশমিক ৯৪ কোটি টাকার ৫৪টি বিড দাখিল করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, অকশন কমিটি কর্তৃক সকল বিডই গৃহীত হয়। ফলে রেপো এবং এএলএসএফ এর আওতায় সর্বমোট ১৩ হাজার ০৮৫ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। উল্লিখিত এক দিন ও সাত দিন মেয়াদি রেপো এবং অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট ফ্যাসিলিটি এর সুদের হার ছিল যথাক্রমে বার্ষিক শতকরা ৮ দশমিক ৫০, ৮ দশমিক ৬০ ও ৮ দশমিক ৫০ ভাগ। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট, সরকারি ট্রেজারি বিলের ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও নীতি হার বৃদ্ধির কারণে সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা নিয়ে ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করছে। কারণ ট্রেজারি বিলের সুদহার ১১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে তারল্যের সংকটের মধ্যে ব্যাংকগুলো গত কয়েক মাস ধরে প্রতি কার্যদিবসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা পাচ্ছে। এখন ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাই থেকে রেপোর মাধ্যমে তারল্য সহায়তা প্রতিদিনের পরিবর্তে সাপ্তাহিক হবে।  
১৬ মে ২০২৪, ২৩:৫৬

সিলেটে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট 
গ্যাসের সংকট নিরসনসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলছে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘট।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সিলেট শহরে বাস-ট্রাক-মাইক্রোবাসসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ দিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আন্ত‍ঃজেলা ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও তেমন একটা যান চলাচল করছে বললেই চলে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।  তবে সকাল থেকে শহরে অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এর আগে সিলেট কোর্ট পয়েন্টে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এ বিষয়ে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি বহাল রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে প্রতি মাসের ১৮-২০ তারিখের পর থেকেই ‘লিমিট’ শেষ হয়ে যায় সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত গাড়ির চালকরা। এ ছাড়া সড়কের যানবাহন কম চলাচল করায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণরাও। শ্রমিক ইউনিয়নের এ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিলেটে বর্তমানে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে, প্রতিদিন বিভিন্ন সিএনজি পাম্পে গ্যাস নেওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গ্যাস পাচ্ছেন না পরিবহন শ্রমিকরা। গত কয়েক বছরে গ্যাস সংকট সমাধানের লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্থানীয় মন্ত্রী ও এমপিদের কাছে বারবার ধরনা দিয়েও সমাধান মিলছে না। বেশ কয়েকবার আন্দোলনও করা হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই এবার ‘কঠোর’ আন্দোলনে যেতে হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়